৯. অভিধান
৯.১ বর্ণানুক্রম
৯.২ ভুক্তি ও শীর্ষ শব্দ
৯.৩ কর্ম-অনুশীলন
৯. অভিধান
ইংরেজি Dictionary শব্দটির বাংলা অর্থ ‘অভিধান'। অভিধান হলো ভাষার সেই গ্রন্থ, যা থেকে ভাষার শব্দসমূহ, শব্দের অর্থ, উৎস, ব্যুৎপত্তি, পদ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বিশদভাবে জানা যায়। অভিধান জানিয়ে দেয় শব্দের শুদ্ধ রূপ কোনটি, শুদ্ধ বানান কোনটি, শুদ্ধ অর্থ কোনটি। অভিধান মানেই হচ্ছে শুদ্ধতার প্রতীক। পৃথিবীর সব উন্নত ভাষারই অভিধান বা শব্দকোষ আছে। বাংলা ভাষায়ও সংকলিত হয়েছে সমৃদ্ধ অভিধান৷
অভিধানে শব্দের পর শব্দ সাজানো থাকে বর্ণানুক্রমিকভাবে। প্রথমে অ দিয়ে যেসব শব্দের বানান শুরু, সেগুলো। তারপর আ দিয়ে, তারপর ই দিয়ে; এভাবে বর্ণের ক্রম অনুসারে সাজানো থাকে অভিধান। তবে সাধারণভাবে বর্ণের যে ক্রম মান্য করা হয় তা থেকে অভিধানে সামান্য ব্যতিক্রম দেখা যায়। নিচে অভিধানে অন্তর্ভুক্ত শব্দের বর্ণানুক্রম দেখানো হলো।
সাধারণ বর্ণানুক্রম
অ আ ই ঈ উ ঊ ঋ এ ও ঔ | |
ক খ গ ঘ ঙ | চ ছ জ ঝ ঞ |
ট ঠ ড ঢ ণ | ত থ দ ধ ন |
প ফ ব ভ ম | য র ল শ ষ স |
হ ড় ঢ় য় | ৎ ং ঃ ঁ |
অভিধানে ব্যবহৃত বর্ণানুক্রম
অ আ ই ঈ উ ঊ ঋ এ ঐ ও ঔ ং ৎ ঃ ঁ |
ক ক্ষ খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ |
ট ঠ ড ড ঢ ঢ় ণ ত (ৎ) থ দ ধ ন |
প ফ ব ভ ম য য় র ল শ ষ স হ |
যুক্তাক্ষরের বর্ণানুক্রম
ক্কক্ট ক্ত ক্ষ ক্স গুণ খ ঙ্ক ঙ্ক্ষ ঙ্খ ঙ্গ ঙ্ঘ |
চ্চ চ্ছ ঞ ঞ্জ ঞ্ঝ জ্ঞ ঞ্চ ঞ্ছ ঞ্জ ঞ |
ট্ট ড্ড ড়গ ণ্ট ণ্ঠ ণ্ড ঢ ণ্ণ ণ্ম ত্ত থ |
দ্গা ব দ্দ দ্ধ দ্ব দ্ভ ধ্ব ন্ট ন্ঠ ন্ড ঢ |
ন্ত থ দ ধ ন্ন ন্ম প্ট প্ত পপ্স জ ব্দ |
ব্ধ ব্ব বভ ম্প ফ ব ন্তু ম্ম ল্ক ল্গ ল্ট |
ল্ড ল্প ল্ম ম্ল শ্চ চ্ছ ষ্ক ষ্ট ষ্ঠ ষ্ণ ম্প ফ |
ক্ষ্ম স্ক স্ট স্ত স্থ স্প ফ ছু হ্ন হ্ম |
কার চিহ্ন া ি ী ু ূ ৃ ে ৈ ো ৌ
ফলা চিহ্ন ন/ণ ম ্য ্র ল ব
স্বরবর্ণ, কারচিহ্ন, অনুস্বার বিসর্গ ও চন্দ্রবিন্দুর বিন্যাসের নমুনা
ক কঅ কআ কই কঈ কউ কউ কখ কএ কঐ কও কঔ কং কঃ জঁ কঁক কঁখ …..
কা কাঅ কাআ কাই কাঈ কাউ কাউ কাঋ কাএ কাঐ কাও কাঔ কাং কাঃ কাঁ কাঁক কাঁখ ….
অভিধানে যে শব্দের অর্থ দেওয়া হয়, সেটি বোল্ড টাইপে বা মোটা হরফে মুদ্রিত থাকে। এটিকে শীর্ষ শব্দ বলে। যেমন :
অঋণী [অরিনি] বিণ ঋণমুক্ত; ঋণশূন্য। {স. অ+ঋণ+ইন(ইনি); স. অণী}
—এখানে ‘অঋণী' শব্দটি হচ্ছে শীর্ষ শব্দ।
অভিধানে শীর্ষ শব্দের অর্থ, ব্যাখ্যা ও ব্যবহার যেভাবে বিধৃত থাকে তাকে বলা হয় ভুক্তি। শীর্ষ শব্দগুলো যাতে সহজে খুঁজে পাওয়া যায়, সেজন্যে অভিধানে শব্দগুলোকে বর্ণানুক্রমিবভাবে সাজানো থাকে। বাংলা একাডেমি যে “অভিধান ব্যবহার নির্দেশিকা” প্রণয়ন করেছে তা এ রকম :
অভিধান ব্যবহার নির্দেশিকা
এ অভিধানে শব্দের উচ্চারণ, অর্থ, পদ পরিচয়, অর্থান্তর, প্রয়োগ, ব্যুৎপত্তি প্রভৃতি কীভাবে নির্দেশ করা হয়েছে নিম্নলিখিত নির্দেশিকায় তা পরিস্ফুট করার চেষ্টা করা হলো :
১. তোমার হাতের কাছে যে অভিধান আছে সেটি দেখে ‘কিংকর্তব্যবিমূঢ়', ‘দেউলিয়া’, ‘রকমারি’ ও ‘সরঃ' শীর্ষ শব্দের অর্থ, ব্যাখ্যা ও ব্যবহার লেখ৷
২. হিসাব, হিস্সা, আছাড়, আচ্ছাদক, খাকি, খাঁটি, ড্রপার, ড্যাশ, উৎপাদন, উতরাই, চিরুনি, চিরায়ু, সাম্য, সামান্য, ফলদ, ফলার, ইক্ষু, ইঁদুর, প্রসাধন, প্রশাখা শব্দগুলোকে অভিধানের মতো - বর্ণনানুক্রমিকভাবে সাজাও।
আরও দেখুন...